বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা সবসময় রাতের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না! যেমন হয়তো আমি দিতে
পারিনি। তোমাকে প্রথম কখন দেখেছি এটা আমার কাছে একটা অমীমাংসিত রহস্য। অনেক ভেবেও
কূলকিনারা করতে পারিনি। অপেশাদার গোয়েন্দার মতো শুধু ঘুরপাক খেয়েছি ছোট্ট সূত্র
সন্ধানে। তবে মনে আছে মানবীয় সৌন্দর্যের উর্ধ্বে এক আশ্চর্য মোহনীয়তায় তোমার ছবির
দিকে তাকিয়ে ছিলাম। বিশেষণের বাইরে কোন অদ্ভুত অনুভূতির সুতীব্র উচ্ছ্বাসে ডানা
মেলেছিলাম সফেদ অ্যালবাট্রসের মতো।
বৃত্তের পরিধিতে থেকে কেন্দ্র সন্ধান অনেক সময়ই মিছে চেষ্টা, বিশেষত যখন স্পর্শ সক্ষমতার অনেক বাইরে তার অবস্থান হয়। আমি শুধু তোমার দিকে তাকানোর পণ করেছিলাম। ঋষি সুলভ গাম্ভীর্য নিয়ে নিষ্কাম পর্যবেক্ষণ!
মন থেকে চাইলে নাকি ঈশ্বর নিজেই আবির্ভূত হন স্বকীয় মহিমায়। আমি ঈশ্বরকে চাইনি। চেয়েছিলাম তোমাকে। তোমার কাজল চোখের কাব্য আমার পড়া শ্রেষ্ঠ কবিতার বিস্ময়ানুভূতি ঘুচিয়ে হৃদয়ে অস্তিত্বের সুতীব্রতায় চিরস্থায়ী চেনা জানালায় দেখা চেনা আকাশের মতো। আমার হয়নি কখনো এমন!
তারপরের সব তোমার জানা। সেপ্টেম্বরের সেই প্রারম্ভের পর কেটেছে অনেক বেলা। ফেসবুকের মেসেজ বক্সে একটু একটু করে আমার ভালবাসার অংকুরোদগম হয়েছে। স্কাইপে তোমার হাসির ঝংকারে আমার চেনা সব সুর মিথ্যে হয়ে মোজার্টের সোনাটার চেয়ে মূর্ত অলৌকিকতার জন্ম দিয়েছে। কিউপিড-সাইকির গল্প আমার ক্লান্তিতে জীবিত স্বপ্নের মতো তোমার আঙুল ছুঁয়ে ঘুমুতে গেছে নির্দ্বিধায়। গাঢ় ঘুমের নির্লিপ্ততায় তুমি এসেছো অনেকবার, অনাবিষ্কৃত হৃদয়ের প্রতি ইঞ্চি ভূমিতে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেতে!
আমি জানি এসবের কিছুই তোমার অজানা নয়। হয়তো নতুন করে জানতেও চাওনা। তোমার মেসেজ দেখেছি সন্ধ্যেবেলা। বৃষ্টি পরবর্তী গুমোট সময়ে। তারপর আমার কেটেছে টিএসসির চারপাশে। মুঠোতে চায়ের কাপ আঁকড়ে একে একে নীলাভ ধোঁয়ার বৃত্ত বানিয়ে আমি মগ্ন ছিলাম উত্তর সন্ধানে। অশ্বত্থ গাছের নিচে গৌতমের ধ্যান তাকে বুদ্ধের জ্যোতিতে উদ্ভাসিত করেছে। আমার ভালোবাসার অক্ষম আকাশে না জানি কী আছে!
আমি জানি বয়সের তারতম্যের কথা। স্নাতকত্বের চৌকাঠে পা রাখা আমার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা। হলের অপ্রশস্ত কক্ষে দিন যাপনের কথা। যাপিত জীবনের সব সীমাবদ্ধতাগুলো তখন আমার চোখে বাইবেলের গোলিয়াথের মতো সুউচ্চ রূপ নিয়ে আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছিল আমার সব ক্ষুদ্রতা, আমার অক্ষমতা।
জানি তুমি সুন্দর, আমার আগে পরে অনেকে তোমাকে তোমাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছে,হবে। তাদের মতো করে হয়তো বলতে পারব না কখনো। তবে, বলব আমার ভালোবাসা অনন্য। আমার সমস্ত সামর্থ দিয়ে তোমাকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তোমার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমার অনুভূতির প্রকাশিত/অপ্রকাশিত ছন্দোময়তায় তোমাকে ভালোবাসার শপথ করছি। শুধু চাইছি তোমার ভালোবাসা। চাইছি তোমাকে।
আমি জানি ভালোবাসা এত সোজা নয়। সাময়িক আবেগ বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। ফ্রয়েডের তত্ত্ব তো অতিসরলীকৃত করে উড়িয়ে দিয়েছে আকাঙ্ক্ষিত এই বন্ধনকে। আজ অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম। অনেক ভেবেছি। বারবার কী বোর্ডে হাত দিয়েও সরিয়ে নিয়েছি অজানা আশঙ্কায়! দুরু দুরু বুকের কম্পন আমি ঠিক সহ্য করতে পারিনা। আমার শ্বাসকষ্ট হয়। আজ ঘুমুতে যাব এমনই এক অসংলগ্নতায়।
আমি তোমাকে ভালোবাসি। ভালবাসিগো সুনয়না।
বৃত্তের পরিধিতে থেকে কেন্দ্র সন্ধান অনেক সময়ই মিছে চেষ্টা, বিশেষত যখন স্পর্শ সক্ষমতার অনেক বাইরে তার অবস্থান হয়। আমি শুধু তোমার দিকে তাকানোর পণ করেছিলাম। ঋষি সুলভ গাম্ভীর্য নিয়ে নিষ্কাম পর্যবেক্ষণ!
মন থেকে চাইলে নাকি ঈশ্বর নিজেই আবির্ভূত হন স্বকীয় মহিমায়। আমি ঈশ্বরকে চাইনি। চেয়েছিলাম তোমাকে। তোমার কাজল চোখের কাব্য আমার পড়া শ্রেষ্ঠ কবিতার বিস্ময়ানুভূতি ঘুচিয়ে হৃদয়ে অস্তিত্বের সুতীব্রতায় চিরস্থায়ী চেনা জানালায় দেখা চেনা আকাশের মতো। আমার হয়নি কখনো এমন!
তারপরের সব তোমার জানা। সেপ্টেম্বরের সেই প্রারম্ভের পর কেটেছে অনেক বেলা। ফেসবুকের মেসেজ বক্সে একটু একটু করে আমার ভালবাসার অংকুরোদগম হয়েছে। স্কাইপে তোমার হাসির ঝংকারে আমার চেনা সব সুর মিথ্যে হয়ে মোজার্টের সোনাটার চেয়ে মূর্ত অলৌকিকতার জন্ম দিয়েছে। কিউপিড-সাইকির গল্প আমার ক্লান্তিতে জীবিত স্বপ্নের মতো তোমার আঙুল ছুঁয়ে ঘুমুতে গেছে নির্দ্বিধায়। গাঢ় ঘুমের নির্লিপ্ততায় তুমি এসেছো অনেকবার, অনাবিষ্কৃত হৃদয়ের প্রতি ইঞ্চি ভূমিতে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেতে!
আমি জানি এসবের কিছুই তোমার অজানা নয়। হয়তো নতুন করে জানতেও চাওনা। তোমার মেসেজ দেখেছি সন্ধ্যেবেলা। বৃষ্টি পরবর্তী গুমোট সময়ে। তারপর আমার কেটেছে টিএসসির চারপাশে। মুঠোতে চায়ের কাপ আঁকড়ে একে একে নীলাভ ধোঁয়ার বৃত্ত বানিয়ে আমি মগ্ন ছিলাম উত্তর সন্ধানে। অশ্বত্থ গাছের নিচে গৌতমের ধ্যান তাকে বুদ্ধের জ্যোতিতে উদ্ভাসিত করেছে। আমার ভালোবাসার অক্ষম আকাশে না জানি কী আছে!
আমি জানি বয়সের তারতম্যের কথা। স্নাতকত্বের চৌকাঠে পা রাখা আমার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা। হলের অপ্রশস্ত কক্ষে দিন যাপনের কথা। যাপিত জীবনের সব সীমাবদ্ধতাগুলো তখন আমার চোখে বাইবেলের গোলিয়াথের মতো সুউচ্চ রূপ নিয়ে আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছিল আমার সব ক্ষুদ্রতা, আমার অক্ষমতা।
জানি তুমি সুন্দর, আমার আগে পরে অনেকে তোমাকে তোমাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছে,হবে। তাদের মতো করে হয়তো বলতে পারব না কখনো। তবে, বলব আমার ভালোবাসা অনন্য। আমার সমস্ত সামর্থ দিয়ে তোমাকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তোমার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমার অনুভূতির প্রকাশিত/অপ্রকাশিত ছন্দোময়তায় তোমাকে ভালোবাসার শপথ করছি। শুধু চাইছি তোমার ভালোবাসা। চাইছি তোমাকে।
আমি জানি ভালোবাসা এত সোজা নয়। সাময়িক আবেগ বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। ফ্রয়েডের তত্ত্ব তো অতিসরলীকৃত করে উড়িয়ে দিয়েছে আকাঙ্ক্ষিত এই বন্ধনকে। আজ অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম। অনেক ভেবেছি। বারবার কী বোর্ডে হাত দিয়েও সরিয়ে নিয়েছি অজানা আশঙ্কায়! দুরু দুরু বুকের কম্পন আমি ঠিক সহ্য করতে পারিনা। আমার শ্বাসকষ্ট হয়। আজ ঘুমুতে যাব এমনই এক অসংলগ্নতায়।
আমি তোমাকে ভালোবাসি। ভালবাসিগো সুনয়না।