Friday, August 13, 2010

ফুল টাইম ব্লগাররা যেভাবে শরীরের যত্ন নিবেন!

ফুল টাইম ব্লগাররা যেভাবে শরীরের যত্ন নিবেন!

আসসালামুয়ালাইকুম,
 
ব্লগিং আজকের বিশ্বের অনেক মানুষের পছন্দের কাজ। কেউ এটাকে বেছে নিয়েছেন আয় করার উপায় হিসেবে, কেউবা নিয়েছেন পারট টাইম জব হিসেবে আবার কেউ নিয়েছেন শখের বসে। কারণ যাই হোক যদি ব্লগিং এর পিছে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। কেউ নিজেই ব্লগ লিখেন আবার কেউ শুধুই পড়েন। ব্লগিং যারা করেন তারাই মূলত ব্লগার। প্রায় প্রতিনিয়তই মানুষ ব্লগ নিয়ে আগ্রহী হচ্ছে এবং অনেকেই ব্লগার হচ্ছে। ব্লগাররা সবসময়ই নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগিং এর চিন্তা ভাবনা করেন, কিন্তু এর ফাকে শরীরের প্রতি যত্ন নেয়ার আর সময় থাকে না। কিন্তু শরীরটাও তো জরুরী। ব্লগিং এর নেশায় যে নিজের প্রতি খেয়াল নিবেন না, তা হতে পারে না। শরীর ভালো না থাকলে ব্লগিং করবেন কিভাবে? আমার আজকের টিউনটি মূলত এ নিয়েই, ফুল টাইম ব্লগাররা যেভাবে শরীরের যত্ন নিবেন!

ব্লগাররা শরীর ভালো রাখার জন্য যে যে পদ্ধতি অবলম্বন করবেন তা পর্যায়ক্রমে নিচে তুলে ধরা হলঃ
 
১. প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করবেন, হতে পারে তা হাটা বা হতে পারে দৌড়ানো, চাইলে জিমে গিয়েও ব্যায়াম করতে পারেন।
 
২.ব্লগিং করার আগে আপনার হাতের জন্য কিছু ছোটখাট ব্যায়াম করে নিন। যেমনঃ আংগুল গুলো বার বার মুঠো করুন আবার খুলুন, এরুপে বেশ কয়েকবার করুন, এতে আঙ্গুলের জড়তা দূর হবে এবং টাইপে সুবিধা হবে।

৩.সকালে কাজ করার পূর্বে অবশ্যই ব্রেকফাস্ট করে নিবেন।
 

৪.সমান চেয়ারে বসবেন, এবং চেয়ারের সাথে শরীরের সামঞ্জস্য বজায় রাখবেন যাতে শরীর ব্যাথা না হয়।
 

৫.মনিটরের পাওয়ার যথা সম্ভব কমিয়ে রাখুন বা স্ক্রিন গার্ড লাগান।
 

৬.মনিটর থেকে আপনার চোখকে কমপক্ষে ১২-১৫ ইঞ্চি দূরে রাখুন।
 

৭.শক্তি দিয়ে মাউস বা কিবোর্ডের কাজ করবেন না।
 

৮.একঘণ্টার বেশি কখোনোই একবারে হেডফোন ব্যবহার করবেন না।
 

৯.যেখানে কম্পিটার ব্যবহার করবেন সেখানে যথেস্ট পরিমাণ আলো নিশ্চিত করবেন, এক্ষেত্রে কৃ্ত্রিম আলোর চেয়ে প্রাকৃ্তিক আলো শ্রেয়।
 

১০.প্রতি ১ ঘণ্টা কাজের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ মিনিটের বিরতি বাধ্যতামূলক।
 

১১.বিরতির সময় একটু এক্সারসাইজ বিশেষ করে চোখের এক্সারসাইজ করুন। যেমনঃ বার বার চোখের পাতা খুলুন এবং বন্ধ্ করুন মানে চোখকে পিটপিট করুন, চোখে পানি দিন। বাইরে যদি সূর্য থাকে{দিনে} তাহলে একতু সূর্যের আলোতে আসুন এবং চারপাশে দেখুন। সূর্যের দিকে তাকাবেন না।
 

১২.মাঝে মাঝে কফি বা চা খাওয়ার চেস্টা করুন, এতে ক্লান্তি কম হবে।
 

১৩.পানির বোতল সাথে রাখুন। এক্ষেত্রে নরমাল পানি খাবেন, ঠাণ্ডা পানি হতে বিরত থাকুন।



১৪.দূপুরের খাবার যথা সময়ে খেয়ে নিন।

১৫.জড়তা বা একঘেয়েমি কাটাতে মজার ভিডিও দেখুন{ফান ভিডিও, খারাপ কিছু দেখবেন না}, জোক্স পরুন বা গেমস খেলুন।
 

১৬.সিগারেট সহ যাবতীয় নেশা জাতীয় দ্রব্য হতে বিরত থাকুন।
 

১৭. কাজ শেষ হয়ে গেলে যত কম সময় পারেন তত কম কম্পিউটার চালান।
 

১৮.বিকেলে যদি পারেন তাহলে বাহিরে বের হওয়ার চেস্টা করুন, এতে শরীর ও মন দুটোই চাঙ্গা হবে।
 

১৯.বন্ধুদের সাথে আড্ডা না দিয়ে তাদের সাথে ক্রিকেট, ফুটবল বা নানা রকম আউটডোর গেমস খেলার চেস্টা করুন।
 

২০.দ্রুত ঘুমানোর চেস্টা করুন। রাত ১১ টায় ঘুমানোর চেস্টা করুন এবং সকাল ৬-৭ টার মধ্যে উঠে পরুন। মিনিমাম ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে প্রয়োজনের তুলনায় ঘুম বেশি না হয়।
 

এছাড়াও আপনি আপনার নিজের সুবিধা মত আপনার শরীরের যত্ন নিবেন, এতে শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে।

,,,,,,,,,,,,,,,তোমাকে খুন করব..,,,,,,,,,,,,,,,,,,
দুঃসহ যন্ত্রণার ধারা হয়ে
বইতে থাকো শিরা উপশিরায়;

আমার রাতগুলোতে
বিষের মত ছড়িয়ে পড়ে
বইতে থাকো অবিরাম-
যতক্ষণ না বিষাক্ত হয়ে ওঠে হৃৎপিণ্ডটা।
অলস ঘুমজড়ানো সকালগুলোয়
কিংবা ছায়া পড়া পড়ন্ত দুপুরেও

রেহাই নেই আমার।
হঠাৎই ছোট্ট তোমার কয়েকটা কথা
ছুরির ফলা হয়ে ঢুকে পড়ে;
দুর্বল আমার বর্ম ভেদ করে-

একটানে চিরে ফেলে সমস্ত দেহ-মন।
চলার পথে তুমি দাঁড়াও না অকারণ,
হ্যাংলামোটা তোমাকে দেখিনি করতে;
তবু হঠাৎ
ক্লাস থেকে বেরোতে চোখ পড়ে-

একই সেই ভঙ্গিতে,
দাঁড়িয়ে আছ নিজের মত
বা বন্ধুদের নিয়ে;
না তাকিয়ে চলে যেতে চাই,

না দেখার ভান কর তুমিও...
তারপরই সেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি-
কেটে ফেলে আমাকে,
কলিজাটা ছিঁড়ে নেয় একটানে-আর
তারপর কী মিষ্টি হাসি তোমার!***উফফ!!

অসহ্য অসহ্য!!
আর পারছি না!
এত যন্ত্রণা...
হ্যাঁ, তোমাকে খুন করব

ভীষণ যন্ত্রণা দিয়ে
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
একটু একটু করে
যন্ত্রণায় কাতরে উঠবে তুমি!
আহ! কী শান্তি!!

প্রতিশোধের রক্তে স্নান করে
শীতল হব আমি-
তোমাকে খুন করব
তোমাকে খুন করব...

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

তুমি তীরে এসে এতটুকু আশ্বাস দাও
যাতে আমি হতবিহ্ববল হয়ে যাই,
আমার স্মৃতিরা কেদেঁ ফেলে
আমার নোঙ্গর ছিড়েঁ যায়.....