Tuesday, September 28, 2010

চাণক্য-শ্লোক : কে ছিলেন চাণক্য?



'চাণক্য' প্রাচীন ভারতের কূটনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নাম। পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত তক্ষশীলায় চণক-ঋষির ঔরসে মহামতি চাণক্য খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন। চণক-ঋষির পুত্র বলেই তাঁর নাম হয় 'চাণক্য'। তাঁর জন্মগ্রাম 'চানকা' থেকে 'চাণক্য' নাম হয়েছে বলেও অনুমান করা হয়। এছাড়া 'বিষ্ণুগুপ্ত' নামেও তিনি পরিচিত। চাণক্যের বিখ্যাত ছদ্মনাম 'কৌটিল্য'। কুটিলবুদ্ধি পরায়ণ বলে তিনি এ নামে অভিহিত। 'কুটিলা' গোত্রভুক্ত হওয়ার কারণে তাঁর 'কৌটিল্য' নাম হয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
সে সময়ে মগধে 'নন্দবংশ' নামে এক রাজবংশ ছিল। ঐ রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন ধনানন্দ। ধনানন্দের সৎভাই ছিলেন (পিতা মহাপদ্মের ঔরসে দাসী 'মুরা'র গর্ভজাত) চন্দ্রগুপ্ত। রাজা ধনানন্দ প্রজাদের কাছে প্রিয় ছিলেন না। পিতা মহাপদ্মের মৃত্যুর পর তিনি দাসীমাতা মুরা ও সৎভাই চন্দ্রগুপ্তকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেন। অপমানিত চন্দ্রগুপ্ত তার ভাই ধনানন্দকে পরাজিত করে মগধের সিংহাসন দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু সে চেষ্টায় তিনি ব্যর্থ হন এবং জীবন বাঁচাতে জঙ্গলে গিয়ে নির্বাসিত জীবন-যাপন করতে থাকেন।
মহারাজ ধনানন্দের পিতৃশ্রাদ্ধে পৌরহিত্য করার জন্য একজন ব্রাহ্মণের প্রয়োজন হয়। ব্রাহ্মণ সংগ্রহের দায়িত্ব পড়ে মন্ত্রী শকটার উপর। তিনি চাণক্যকে মহারাজ ধনানন্দের পিতৃশ্রাদ্ধে পৌরহিত্য করার অনুরোধ জানান। সে অনুরোধ অনুযায়ী চাণক্য যথাসময়ে রাজপ্রাসাদে উপস্থিত হয়ে পুরোহিতের আসন গ্রহণ করেন। চাণক্যের চেহারা খুব ভাল ছিল না। পুরোহিতের আসনে কদাকার ব্রাহ্মণ চাণক্যকে দেখে মহারাজ ধনানন্দ ভীষণ ক্রুদ্ধ হন এবং তাকে তিরস্কার করে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। পণ্ডিত চাণক্য প্রথমে রুষ্ট না হয়ে মহারাজাকে হিতবাক্যে বুঝাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজা ধনানন্দ কোন প্রবোধ না মেনে অপর লোক দ্বারা চাণক্যকে যথেষ্ট অপমান করেন। চাণক্য ক্রুদ্ধ হয়ে সেখান থেকে চলে আসেন এবং এই অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণের প্রতিজ্ঞা করেন।
চন্দ্রগুপ্ত যখন বিন্ধানের জঙ্গলে পলাতক ও নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন, তখন ঘটনাচক্রে ঐ চাণক্যের সাথে তার সাক্ষাত হয়। চন্দ্রগুপ্ত তার সমস্ত কথা চাণক্যের কাছে খুলে বলেন এবং ধনানন্দকে পরাজিত করে মগধের সিংহাসন দখলে চাণক্যের পরামর্শ ও সাহায্য কামনা করেন। চাণক্য ছিলেন প্রখর প্রতিভাধর কুটিলবুদ্ধি-সম্পন্ন পণ্ডিত। চন্দ্রগুপ্ত চাণক্যকে তার গুরু, উপদেষ্টা ও মন্ত্রণাদাতা হিসেবে মেনে নেন। চাণক্যের সক্রিয় সহযোগিতায় চন্দ্রগুপ্ত ক্রমে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন এবং গুরু চাণক্যের সুনিপুণ পরিকল্পনা অনুসারে ধনানন্দকে পরাজিত করে মগধের সিংহাসন দখল করেন। সিংহাসনে আরোহন করার পর মাতা 'মুরা'র নামানুসারে (নন্দবংশের পরিবর্তে) রাজবংশের নামকরণ করেন 'মৌর্যবংশ' এবং পণ্ডিত চাণক্যকে করেন তার রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
চন্দ্রগুপ্তের গুরু ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাণক্য অবলীলায় বিলাসবহুল জীবন কাটাতে পারতেন জাঁকজমকপূর্ণ প্রাসাদে। কিন্তু তিনি তা না করে একটি শ্মশানে কুড়েঘরে সন্ন্যাসীর মত জীবন-যাপন করতেন। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের চেহারা যেমন সুন্দর ছিল না, চাণক্যের চেহারাও তেমনি সুন্দর বা আকর্ষণীয় ছিল না। তাছাড়া স্বাস্থ্যেও তিনি ছিলেন দুর্বল। কিন্তু পাণ্ডিত্যে ছিলেন প্রায় সক্রেটিসের সমতুল্য। তিনি বিশ্বাস করতেন 'দেহের সৌন্দর্যের চাইতে চিন্তার সৌন্দর্য অধিকতর মোহময় ও এর প্রভাব যাদুতুল্য।' তিনি ছিলেন দক্ষ পরিকল্পনাবিদ, সিদ্ধান্তে অটল এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অত্যন্ত কঠোর। ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে দূরে থেকেও তিনি সর্ববিধ পরামর্শ দিয়ে রাজা চন্দ্রগুপ্তকে পরিচালনা করতেন। রাজা চন্দ্রগুপ্তের জীবনে চাণক্য ছিলেন সত্যিকার বন্ধু, দার্শনিক, গুরু এবং স্বর্গীয় দূততুল্য অভিভাবক। শ্মশানে থেকে (রাজ্য পরিচালনার পরামর্শদানের পাশাপাশি) অসংখ্য ভক্তদেরকে নৈতিক ও আর্থ-সামাজিক বিষয়েও তিনি জ্ঞানদান করতেন।
চাণক্যের অর্থবিষয়ক জ্ঞানের সংকলন হচ্ছে অর্থশাস্ত্র, যা ‌'চাণক্যের অর্থশাস্ত্র' নামে পরিচিত একটি কালোত্তীর্ণ গ্রন্থ। এ শাস্ত্রে আছে শাসকের উদ্দেশ্যে পরামর্শ, প্রজাদের নিরাপত্তা, কল্যাণ ও জীবনমান উন্নতকরার কৌশল। চাণক্য তার অর্থশাস্ত্রে রাজাকে এভাবে পরামর্শ দিয়েছেন- 'যে রাজা শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না এবং শুধু অভিযোগ করে যে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাকে সিংহাসনচ্যুত করা উচিত।' 'সকল উদ্যোগ নির্ভর করে অর্থের উপর। সে জন্য সবচেয়ে অধিক মনোযোগ দেওয়া উচিত খাজাঞ্চিখানার দিকে। তহবিল তসরুপ বা অর্থ আত্মসাতের চল্লিশটি পদ্ধতি আছে। জিহ্বার ডগায় বিষ রেখে যেমন মধুর আস্বাদন করা সম্ভব নয়, তেমনি কোন রাজকর্মচারীর পক্ষে রাজার রাজস্বের সামান্য পরিমাণ না-খেয়ে ফেলার ঘটনা অসম্ভব ব্যাপার। পানির নিচের মাছের গতিবিধি বোঝা যেমন অসম্ভব, রাজকর্মচারীর তহবিল তসরুপ বোঝাও তেমনি অসম্ভব। আকাশের অতি উঁচুতেও পাখির উড্ডয়ন দেখা সম্ভব, কিন্তু রাজকর্মচারীর গোপন কার্যকলাপ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া অসম্ভব।' চাণক্যের পরামর্শ ও নির্দেশনাগুলি শুধু রাজ্যশাসনের ক্ষেত্রে নয়, এ যুগের বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনিই অর্থশাস্ত্রের প্রথম প্রবক্তা বলে অভিহিত। চাণক্যের অর্থশাস্ত্র উপবেদের অন্তর্ভুক্ত।
এই বিজ্ঞ ও বাস্তবজ্ঞান-সম্পন্ন পণ্ডিতের সমাজ, সংসার, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি সম্পর্কিত নীতিকথাগুলি (আজ আড়াই হাজার বছর পরেও) গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেনি। আজও তা 'চাণক্য-শ্লোক' নামে ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। কথাগুলি যে চাণক্যের তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না, অথচ কথাগুলি আমাদের খুবই পরিচিত। চাণক্যের এমন কিছু শ্লোক নিচে উল্লেখ করা হল-

১. অতি পরিচয়ে দোষ আর ঢাকা থাকে না।
২. অধমেরা ধন চায়, মধ্যমেরা ধন ও মান চায়। উত্তমেরা শুধু মান চায়। মানই মহতের ধন।
৩. অনেকে চারটি বেদ এবং ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করলেও আত্মাকে জানে না, হাতা যেমন রন্ধন-রস জানে না।
৪. অন্তঃসার শূন্যদের উপদেশ দিয়ে কিছু ফল হয় না, মলয়-পর্বতের সংসর্গে বাঁশ চন্দনে পরিণত হয় না।
৫. অবহেলায় কর্মনাশ হয়, যথেচ্ছ ভোজনে কুলনাশ হয়, যাচ্ঞায় সম্মান-নাশ হয়, দারিদ্র্যে বুদ্ধিনাশ হয়।
৬. অভ্যাসহীন বিদ্যা, অজীর্ণে ভোজন, দরিদ্রের সভায় বা মজলিশে কালক্ষেপ এবং বৃদ্ধের তরুণী ভার্যা বিষতুল্য।
৭. অহংকারের মত শত্রু নেই।
৮. আকাশে উড়ন্ত পাখির গতিও জানা যায়, কিন্তু প্রচ্ছন্নপ্রকৃতি-কর্মীর গতিবিধি জানা সম্ভব নয়।
৯. আদর দেওয়ার অনেক দোষ, শাসন করার অনেক গুণ, তাই পুত্র ও শিষ্যকে শাসন করাই দরকার, আদর দেওয়া নয়।
১০. আপদের নিশ্চিত পথ হল ইন্দ্রিয়গুলির অসংযম, তাদের জয় করা হল সম্পদের পথ, যার যেটি ঈপ্সিত সে সেই পথেই যায়।
১১. আড়ালে কাজের বিঘ্ন ঘটায়, কিন্তু সামনে ভাল কথা বলে, যার উপরে মধু কিন্তু অন্তরে বিষ, তাকে পরিত্যাগ করা উচিত।
১২. ইন্দ্রিয়ের যে অধীন তার চতুরঙ্গ সেনা থাকলেও সে বিনষ্ট হয়।
১৩. উপায়জ্ঞ মানুষের কাছে দুঃসাধ্য কাজও সহজসাধ্য।
১৪. উৎসবে, বিপদে, দুর্ভিক্ষে, শত্রুর সঙ্গে সংগ্রামকালে, রাজদ্বারে এবং শ্মশানে যে সঙ্গে থাকে, সে-ই প্রকৃত বন্ধু।
১৫. ঋণ, অগ্নি ও ব্যাধির শেষ রাখতে নেই, কারণ তারা আবার বেড়ে যেতে পারে।
১৬. একটি দোষ বহু গুণকেও গ্রাস করে।
১৭. একটি কুবৃক্ষের কোটরের আগুন থেকে যেমন সমস্ত বন ভস্মীভূত হয়, তেমনি একটি কুপুত্রের দ্বারাও বংশ দগ্ধ হয়।
১৮. একটিমাত্র পুষ্পিত সুগন্ধ বৃক্ষে যেমন সমস্ত বন সুবাসিত হয়, তেমনি একটি সুপুত্রের দ্বারা সমস্ত কুল ধন্য হয়।
১৯. একশত মূর্খ পুত্রের চেয়ে একটি গুণী পুত্র বরং ভাল। একটি চন্দ্রই অন্ধকার দূর করে, সকল তারা মিলেও তা পারে না।
২০. কর্কশ কথা অগ্নিদাহের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
২১. খেয়ে যার হজম হয়, ব্যাধি তার দূরে রয়।
২২. গুণবানকে আশ্রয় দিলে নির্গুণও গুণী হয়।
২৩. গুণহীন মানুষ যদি উচ্চ বংশেও জন্মায় তাতে কিছু আসে যায় না। নীচকুলে জন্মেও যদি কেউ শাস্ত্রজ্ঞ হয়, তবে দেবতারাও তাঁকে সম্মান করেন।
২৪. গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই, যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে।
২৫. গৃহে যার মা নেই, স্ত্রী যার দুর্মুখ তার বনে যাওয়াই ভাল, কারণ তার কাছে বন আর গৃহে কোনও তফাৎ নেই।
২৬. চন্দন তরুকে ছেদন করলেও সে সুগন্ধ ত্যাগ করে না, যন্ত্রে ইক্ষু নিষ্পিষ্ট হলেও মধুরতা ত্যাগ করে না, যে সদ্বংশজাত অবস্থা বিপর্যয়েও সে চরিত্রগুণ ত্যাগ করে না।
২৭. তিনটি বিষয়ে সন্তোষ বিধেয়: নিজের পত্নীতে, ভোজনে এবং ধনে। কিন্তু অধ্যয়ন, জপ, আর দান এই তিন বিষয়ে যেন কোনও সন্তোষ না থাকে।
২৮. দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ, বন্ধন এবং বিপদ- সব কিছুই মানুষের নিজেরই অপরাধরূপ বৃক্ষের ফল।
২৯. দুর্জনের সংসর্গ ত্যাগ করে সজ্জনের সঙ্গ করবে। অহোরাত্র পুণ্য করবে, সর্বদা নশ্বরতার কথা মনে রাখবে।
৩০.দুর্বলের বল রাজা, শিশুর বল কান্না, মূর্খের বল নীরবতা, চোরের মিথ্যাই বল।
৩১.দুষ্টা স্ত্রী, প্রবঞ্চক বন্ধু, দুর্মুখ ভৃত্য এবং সসর্প-গৃহে বাস মৃত্যুর দ্বার, এ-বিষয়ে সংশয় নেই।
৩২. ধর্মের চেয়ে ব্যবহারই বড়।
৩৩. নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না, নিমগাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয় না।
৩৪. পরস্ত্রীকে যে মায়ের মত দেখে, অন্যের জিনিসকে যে মূল্যহীন মনে করে এবং সকল জীবকে যে নিজের মত মনে করে, সে-ই যথার্থ জ্ঞানী।
৩৫. পাপীরা বিক্ষোভের ভয় করে না।
৩৬. পাঁচ বছর বয়স অবধি পুত্রদের লালন করবে, দশ বছর অবধি তাদের চালনা করবে, ষোল বছরে পড়লে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মত আচরণ করবে।
৩৭. পুত্র যদি হয় গুণবান, পিতামাতার কাছে তা স্বর্গ সমান।
৩৮. পুত্রকে যাঁরা পড়ান না, সেই পিতামাতা তার শত্রু। হাঁসদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না, সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না।
৩৯. বইয়ে থাকা বিদ্যা, পরের হাতে থাকা ধন একই রকম। প্রয়োজনকালে তা বিদ্যাই নয়, ধনই নয়।
৪০. বিদ্বান সকল গুণের আধার, অজ্ঞ সকল দোষের আকর। তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য।
৪১. বিদ্যাবত্তা ও রাজপদ এ-দুটি কখনও সমান হয় না। রাজা কেবল নিজদেশেই সমাদৃত, বিদ্বান সর্বত্র সমাদৃত।
৪২. বিদ্যা ব্যতীত জীবন ব্যর্থ, কুকুরের লেজ যেমন ব্যর্থ, তা দিয়ে সে গুহ্য-অঙ্গও গোপন করতে পারে না, মশাও তাড়াতে পারে না।
৪৩. বিদ্যাভূষিত হলেও দুর্জনকে ত্যাগ করবে, মণিভূষিত হলেও সাপ কি ভয়ঙ্কর নয়?
৪৪. বিদ্যার চেয়ে বন্ধু নাই, ব্যাধির চেয়ে শত্রু নাই। সন্তানের চেয়ে স্নেহপাত্র নাই, দৈবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বল নাই।
৪৫. বিনয়ই সকলের ভূষণ।
৪৬. বিষ থেকেও অমৃত আহরণ করা চলে, মলাদি থেকেও স্বর্ণ আহরণ করা যায়, নীচজাতি থেকেও বিদ্যা আহরণ করা যায়, নীচকুল থেকেও স্ত্রীরত্ন গ্রহণ করা যায়।
৪৭. ভোগবাসনায় বুদ্ধি আচ্ছন্ন হয়।
৪৮. মিত ভোজনেই স্বাস্থ্যলাভ হয়।
৪৯. যশবানের বিনাশ নেই।
৫০. যাঁরা রূপযৌবনসম্পন্ন এবং উচ্চকুলজাত হয়েও বিদ্যাহীন, তাঁরা সুবাসহীন পলাশ ফুলের মত বেমানান।
৫১. যে অলস, অলব্ধ-লাভ তার হয় না।
৫২. যে গাভি দুধ দেয় না, গর্ভ ধারণও করে না, সে গাভি দিয়ে কী হবে! যে বিদ্বান ও ভক্তিমান নয়, সে পুত্র দিয়ে কী হবে!
৫৩. রাতের ভূষণ চাঁদ, নারীর ভূষণ পতি, পৃথিবীর ভূষণ রাজা, কিন্তু বিদ্যা সবার ভূষণ।
৫৪. শাস্ত্র অনন্ত, বিদ্যাও প্রচুর। সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক। তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত। হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে শুধু দুধটুকুই তুলে নেয়, তেমনি।
৫৫. সত্যনিষ্ঠ লোকের অপ্রাপ্য কিছুই নাই।
৫৬. সত্যবাক্য দুর্লভ, হিতকারী-পুত্র দুর্লভ, সমমনস্কা-পত্নী দুর্লভ, প্রিয়স্বজনও তেমনি দুর্লভ।
৫৭. সাপ নিষ্ঠুর খলও নিষ্ঠুর, কিন্তু সাপের চেয়ে খল বেশি নিষ্ঠুর। সাপকে মন্ত্র বা ওষধি দিয়ে বশ করা যায়, কিন্তু খলকে কে বশ করতে পারে?
৫৮. সুবেশভূষিত মূর্খকে দূর থেকেই দেখতে ভাল, যতক্ষণ সে কথা না বলে ততক্ষণই তার শোভা, কথা বললেই মূর্খতা প্রকাশ পায়।
৫৯. হাতি থেকে একহাজার হাত দূরে, ঘোড়া থেকে একশ হাত দূরে, শৃঙ্গধারী প্রাণী থেকে দশহাত দূরে থাকবে। অনুরূপ দুর্জনের কাছ থেকেও যথাসম্ভব দূরে থাকবে।

প্রভাত বর্ণনা




---অসৎসঙ্গ ত্যাগ কর।
---আলস্য দোষের আকর।
---ইক্ষুরস অতি মিষ্ট।
---ঈশ্বরকে বন্দনা কর।
---উগ্রভাব ভাল নয়।
---ঊর্ধ্বমুখে পথ চলিও না।
---ঋষিবাক্য শিরোধার্য।
---একতা সুখের মূল।
---ঐশ্বর্য রক্ষা করা কঠিন।
---ওষধি ফল পাকিলে মরে।
---ঔদার্য অতি মহৎগুণ।

---কটুবাক্য কহা অনুচিত।
---খলকে বিশ্বাস করিও না।
---গর্ব করা ভাল নয়।
---ঘনাগমে বৃষ্টি হয়।
---চন্দ্রকিরণ অতি স্নিগ্ধ।
---ছলনা করা বড় দোষ।
---জনকজননী অতি পূজ্য।
---ঝগড়া করিলে বিপদ ঘটে।
---টঙ্কার ধনুর জ্যাশব্দ বটে।
---ঠকের বাক্য অবিশ্বাস্য।
---ডমরু শিবের বাদ্যযন্ত্র।
---ঢক্কা রণবাদ্য বিশেষ।
---তপস্বীরা বনে থাকেন।
---থপ্‌থপ্‌ করিয়া ভেক চলে।
---দরিদ্রকে অন্নদান কর।
---ধর্মপথ অবলম্বন কর।
---নম্র হইতে চেষ্টা কর।
---পণ্ডিতলোক সভামান্য।
---ফলদ্বারা পরিচয় হয়।
---বন্ধুর হিতকরা কর্তব্য।
---ভগ্নোৎসাহ হইও না।
---মন দিয়া বিদ্যাভ্যাস কর।
---যত্ন করিলে রত্ন মিলে।
---রবির কিরণ অতি প্রখর।
---লম্ফ দিয়া চলিও না।
---শঠকে বিশ্বাস করিও না।
---ষট্‌পদ মধু পান করে।
---সৎপুত্র কুলের ভূষণ।
---হটকারিতা বড় দোষ।
ক্ষ---ক্ষমা প্রদর্শন দেবধর্ম।

প্রভাত বর্ণনা

পাখী সব করে রব, রাতি পোহাইল।
কাননে কুসুমকলি, সকলি ফুটিল।।
রাখাল গরুর পাল, ল'য়ে যায় মাঠে।
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে।।
ফুটিল মালতী ফুল, সৌরভ ছুটিল।
পরিমল লোভে অলি, আসিয়া জুটিল।।
গগনে উঠিল রবি, লোহিত বরণ।
আলোক পাইয়া লোক, পুলকিত মন।।
শীতল বাতাস বয়, জুড়ায় শরীর।
পাতায় পাতায় পড়ে, নিশির শিশির।।
উঠ শিশু মুখ ধোও, পর নিজ বেশ।
আপন পাঠেতে মন, করহ নিবেশ।।

ইয়াহু মেসেণ্জারে মাল্টিপল লগ-ইন : যত খুশি আইডি ব্যবহার করুন একই সময়! ‘১০ জন’ হয়ে চ্যাট করুন ১ জনের সাথে! (ভার্চুয়াল বাটপারী)


লীনার সাথে চ্যাট করেন যে আইডি দিয়ে, সাদিয়ার সাথে করেন অন্য আইডি দিয়ে। আইডি চেণ্জ করার জন্য বারবার মেসেণ্জার লগ-ইন, লগ-আউট করতে হয়। খুব ডিজগাছটিঙ! নো চিন্তা, এবার একই সাথে লীনা, সাদিয়া, আরমান, ফারহান এর সাথে চ্যাট করুন ভিন্ন ভিন্ন আইডি দিয়ে, একই সাথে একই টাইমে। কিভাবে? পানির মত সোজা। নিচের সামান্য কয়টি সেটিং পরিবর্তন করে একই সাথে যতখুশি তত মেসেঞ্জারে উউন্ডো ওপেন করে চ্যাট করুন।

০১. স্টার্ট বাটন ক্লিক করে রান অপশন থেকে রেজিএডিট লিখুন


০২. Navigate থেকে HKEY_CURRENT_USER - ক্লিক


০৩. Software তার পর Yahoo! তারপর page, তারপর Testএ ক্লিক করুন।




3.ডানপাশের প্যান থেকে REZ_SZ এর উপর রাইট ক্লিক – New তে ক্লিক –DWORD value তে ক্লিক.



4.নতুন একটি ফাইল তৈরী হবে ও ফাইলটিকে Rename করুন Plural নাম দিয়ে।


5. নতুন তৈরী ফাইলটিকে Double click করুন এবঙ decimal value সিলেক্ট করে তার মান লিখুন 1.


রেজি এডিট বন্ধ করুন। বাস, খেইল খতম। এবার আপনার পালা ...



Friday, September 24, 2010

Thursday, September 23, 2010

সৌদি আরবে অবৈধ বিদেশীদের জন্য ৬ মাসের ক্ষমা ঘোষণা

 সৌদি আরবে অবৈধ বিদেশীদের জন্য ৬ মাসের ক্ষমা ঘোষণা

বিনা ভাড়ায় দেশে ফেরার সুযোগ লাভের জন্য জেদ্দার কান্দ্রা সেতুর কাছে গ্রেফতারের জন্য অপেক্ষা করছে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া অবৈধ বিদেশী নাগরিকরা

জেদ্দা থেকে আরব নিউজ : ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া শত শত অবৈধ বিদেশী নাগরিকদের জন্য সৌদি আরব গত মঙ্গলবার ৬ মাসের ক্ষমা ঘোষণা করেছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কোন ধরনের শাস্তি ছাড়াই তারা সৌদি আরব ছেড়ে যেতে পারবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যারা হজ্ব, ওমরাহ, ভ্রমণ অথবা অন্য যে কোন ধরনের ভিসা নিয়ে এসেছিল অথবা পাসপোর্ট আইন ভঙ্গ করেছে তারা এই ক্ষমার আওতায় পড়বে।
এদেরকে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ২০১০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ২৩ মার্চের মধ্যে নিকটবর্তী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য অবৈধ বিদেশী নাগরিকদেরকে ঘোষিত ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করে মেয়াদের মধ্যেই সৌদি আরব ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীদেরকে ক্ষমার মেয়াদ শেষে গ্রেফতার করে জেল, জরিমানাসহ কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে জানায়, এ অবৈধ বিদেশী নাগরিকদেরকে বহনকারী, আশ্রয়দানকারী অথবা তাদের কাজে নিয়োগকারীদেরকেও কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। শাস্তির মধ্যে রয়েছে জেল, জরিমানা ও যানবাহন বাজেয়াপ্ত করার মতো নির্দেশ।
সৌদি আরবের জাতীয় দিবসের দু'দিন আগে এ ক্ষমার ঘোষণা দেয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের জাতীয় দিবস। এদিন পবিত্র দুই মসজিদের খতিব বাদশাহ আব্দুল্লাহ সাধারণত বিপুল সংখ্যক দেশী-বিদেশী কারাবন্দীকে ক্ষমা ঘোষণা করেন, যারা ছোটখাট অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
সৌদি আরবের এ ক্ষমা ঘোষণায় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অনেক বিদেশী তাদের খুশির কথা জানিয়েছেন। যারা বিভিন্ন জটিল সমস্যার মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন। ভারতীয় নাগরিক নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘‘আমি এ রাজকীয় ক্ষমা ঘোষণার অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম।’’ জেল, জরিমানার ভয়ে তিনি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের পাঠাতে পারছিলেন না। ভ্রমণ ভিসায় তারা সৌদি আরব এসেছিলেন। ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে নরসুন্দরের কাজ করা তিউনিসিয়ান নাগরিক আব্দুল্লাহ বলেন, ক্ষমা ঘোষণার এই রাজকীয় সিদ্ধান্তে আমি দারুণভাবে আনন্দিত। গত ৫ বছর আগে আমার স্ত্রী ও সন্তান ভ্রমণ ভিসা নিয়ে সৌদি আরব আসে। কিন্তু ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ায় শাস্তির ভয়ে আমি তাদের দেশে পাঠাতে পারছিলাম না।
তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে আমার মত এমন শত শত বিদেশী লোক রয়েছে যারা কঠিন শাস্তির ভয়ে তাদের দেশে পাঠাতে পারছে না। এ ক্ষমার সুযোগে তারা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের দেশে পাঠাতে উৎসাহিত হবে।
বিদেশী কূটনীতিক ও ভ্রমণ কর্মকর্তাদের মতে ওমরাহ আইন কঠোর করা এবং আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করার কারণে সম্প্রতি সৌদি আরবে ভিসার মেয়াদ অতিক্রমকারীদের সংখ্যা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
জেদ্দার নির্বাসিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত যাত্রীবহনকারী বিদেশগামী বিমানের একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের কোম্পানীর ব্যবসা প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে গেছে।
চলতি বছরের প্রথম থেকেই নির্বাসিত কেন্দ্রের চাহিদা কমে যাচ্ছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ বিগত বেশ ক বছর ধরে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অবৈধ নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালিয়ে আসলেও সফলতা ছিল খুবই সামান্য। সরকারি কর্তৃপক্ষ এ সমস্যা সমাধানের জন্য পথ খুঁজছিলেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অবৈধ বিদেশীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার প্রতি বছর প্রায় ৪২ কোটি সৌদি রিয়াল খরচ করে।

Wednesday, September 22, 2010

টিউব সাইটগুলোর মধ্যে ইউটিউব সবসময়ই শীর্ষে ছিল। ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের এই আসাধারন সাইটটি ব্লগারদের জন্যও অনেক গুরুত্ব বহন করে। এই পোস্টে ইউটিউব ব্যাবহারের কিছু "টিপস অ্যান্ড ট্রিকস" দেয়া হল।

ভিডিও ডাউনলোড করাঃ
http://www.youtube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU এই ভিডিওটি যদি ডাউনলোড করতে চান তাহলে এড্রেসবারে http://www.OKyoutube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU লিখে Enter মারুন দেখবেন ভিডিওটি ডাউনলোড হচ্ছে।

এরকম আরও হাজারখানেক নিয়ম আছে। OK এর জায়গায় kiss লিখতে হবে। অর্থাৎ যদি নিwww.youtube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU ভিডিওটা ডাউনলোড করতে হয় তবে এড্রেসবারে http://www.kissyoutube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU লিখলেই চলবে!

আরেকটা আছে youtube000 এখানে যদি লিঙ্ক হয় http://www.youtube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU তাহলে ডাউনলোডের লিঙ্ক হবে http://www.youtube.com000/watch?v=_wfrZXKFPAU । এখানে flv, mp4 , 3gp তিনটাই আছে দেখলাম ।

আরেকটা youtube এর জায়গায় keephd লিখলে অর্থাৎ http://www.youtube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU এটা ডাউনলোড করতে http://www.keepHD.com/watch?v=_wfrZXKFPAU লিখলে Flash, For mobile, Mp4, HQ MP4(720p), HQ MP4(1080p) ফরমাটের ডাউনলোড লিঙ্ক পাওয়া যাবে।




হাই কোয়ালিটি ভিডিও দেখাঃ

ইউটিউবের সব ভিডিও হাই কোয়ালিটিতে থাকে না। আপনি ইচ্ছা করলে তা হাই কোয়ালিটিতে দেখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে url এর শেষে ‘&fmt=18′ অথবা ‘&fmt=22′ যোগ করতে হবে।
উদাহরনঃ http://www.youtube.com/watch?v=VT4E_BkEx5k তে ভিডিও টি সাধারণ কোয়ালিটিতে আছে এক্ষেত্রে আপন http://www.youtube.com/watch?v=VT4E_BkEx5k&fmt=18 অথবা http://www.youtube.com/watch?v=VT4E_BkEx5k&fmt=22 তে হাই কোয়ালিটি ভিডিও পাবেন।

হাই-কোয়ালিটি ভিডিও এমবেড করাঃ

এর জন্য শেষে “&ap=&fmt=18″ অথবা “&ap=&fmt=22″ যোগ করতে হবে।

ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ দেখাঃ

ধরুন আপনার পুরো ভিডিওটি দেখার দরকার নেই। ১ মিনিট ২২ সেকেন্ড পর থেকে দেখতে চান। সেক্ষেত্রে url এর শেষে #t=01m22s (#t=XXmYYs for XX mins and YY seconds) zOg করুন।

ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ এমবেড করাঃ

ধরুন আপনি ভিডিওটির ৩০ সেকেন্ড পর থেকে এমবেড করতে চান। সেক্ষেত্রে url এর শেষে ‘&start=30′ যোগ করুন।


এমবেডেড ভিডিও অটোপ্লে করাঃ

কোন সাইটে কোন ভিডিও এমবেড করার পর সাধারণত ভিডিওর উপর ক্লিক না করা পর্যন্ত শুরু হয় না। শেষে ‘&autoplay=1′ যোগ করলে পেজ লোড হবার সাথে সাথে ভিডিও প্লে হওয়া আরম্ভ করবে। আর ক্লিক করার দরকার হবে না। যেমন

এমবেডেড ভিডিও অটোমেটিক্যালি রি-প্লে করাঃ

‘&loop=1′ যোগ করে আপনি এটা করতে পারেন। অর্থাৎ ভিডিওটি দেখা শেষ হয়ে গেলে এটি আবার শুরু হবে।

রিলেটেড ভিডিও ডিজএবল করাঃ

এক্ষেত্রে ‘&rel=0′ যোগ করলেই হবে।

এমপিথ্রি ডাউনলোডঃ

http://www.vidtomp3.com/ সাইটে গিইয়ে youtube link টি দিলেই সেখান থেকে mp3 ডাউনলোড লিঙ্ক পাওয়া যাবে।



ভিডিও ডাউনলোড
ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোডের কম করে হলেও হাজারখানেক নিয়ম আছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে OK পদ্ধতি।

ধরুন আপনি http://www.youtube.com/watch?v=5baDknt6Z7w এই ভিডিওটি যদি ডাউনলোড করতে চান তাহলে এড্রেসবারে youtube কথাটির আগে OK লিখে Enter চাপলেই হবে। অর্থাৎ http://www.OKyoutube.com/watch?v=5baDknt6Z7w লিখে Enter চাপলেই দেখবেন ভিডিওটি ডাউনলোড হচ্ছে।

এরকম আরও নিয়মের মাঝে একটি হচ্ছে OK এর জায়গায় kiss লিখা। অর্থাৎ যদি http://www.youtube.com/watch?v=5baDknt6Z7w ভিডিওটা ডাউনলোড করতে হয় তবে এড্রেসবারে http://www.youtube.com/watch?v=5baDknt6Z7w লিখলেই চলবে!

আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ভিডিও ডাউনলোড করতে চান, তাহলে youtube000 পদ্ধতিটি আপনার উপযোগি। এখানে, যদি লিঙ্ক হয় http://www.youtube.com/watch?v=5baDknt6Z7w তাহলে ডাউনলোডের লিঙ্ক হবে http://www.youtube.com000/watch?v=5baDknt6Z7w । এখানে flv, mp4 , 3gp তিনটা ফরম্যাট থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে ।

আর আপনার যদি হাইকোয়ালিটি ভিডিও(HQ/HD) প্রয়োজন হয়, তাহলে youtube এর জায়গায় keephd লিখলে অর্থাৎ http://www.youtube.com/watch?v=5baDknt6Z7w এটা ডাউনলোড করতে http://www.keepHD.com/watch?v=5baDknt6Z7w লিখলে আপনি Flash, For mobile, Mp4, HQ MP4(720p), HQ MP4(1080p) ফরমাটের ডাউনলোড লিঙ্ক পেয়ে যাবেন।

হাই কোয়ালিটি ভিডিও দেখা

ইউটিউবের সব ভিডিও হাই কোয়ালিটিতে থাকে না। কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলে তা হাই কোয়ালিটিতে দেখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে,
url এর শেষে ‘&fmt=18′ অথবা ‘&fmt=22′ যোগ করতে হবে।

উদাহরনঃ http://www.youtube.com/watch?v=Lm3mS6rvsv তে ভিডিও টি সাধারণ কোয়ালিটিতে আছে এক্ষেত্রে আপনি http://www.youtube.com/watch?v=Lm3mS6rvsv&fmt=18 অথবা Click This Link তে হাই কোয়ালিটি ভিডিও পাবেন।

হাই-কোয়ালিটি ভিডিও এমবেড করা

এর জন্য শেষে “&ap=&fmt=18″ অথবা “&ap=&fmt=22″ যোগ করতে হবে।

ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ দেখা

ধরুন, আপনার পুরো ভিডিওটি দেখার দরকার নেই। ১ মিনিট ২২ সেকেন্ড পর থেকে দেখতে চান। সেক্ষেত্রে url এর শেষে #t=01m22s (#t=XXmYYs for XX mins and YY seconds) যোগ করুন।

ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ এমবেড করা

এটি ব্লগারদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। ধরুন আপনি একটি ৩০ মিনিটের ভিডিও এমবেড করেছেন, কিন্তু সেটির শেষ ৫ মিনিট আপনার পোস্টের প্রয়োজন। এটিকে খুজে বের করতে পাঠকদের ( এমনকি আপনাকেও ) ঝামেলা পোহাতে হয়। এর ছেয়ে ঢের ভালো ভিডিওটির ৫ মিনিট ( ৫*৬০=৩০০ সেকেন্ড ) পর থেকে এমবেড করুন। সেজন্য আপনার url এর শেষে ‘&start=300′ যোগ করলেই চলবে।

এমবেডেড ভিডিও অটোপ্লে করা

কোন সাইটে কোন ভিডিও এমবেড করার পর, সাধারণত ভিডিওর উপর ক্লিক না করা পর্যন্ত শুরু হয় না। শেষে ‘&autoplay=1′ যোগ করলে পেজ লোড হবার সাথে সাথে ভিডিও প্লে হওয়া আরম্ভ করবে। আর ক্লিক করার দরকার হবে না।

এমবেডেড ভিডিও অটোমেটিক্যালি রি-প্লে করা

‘&loop=1′ যোগ করে আপনি এটা করতে পারেন। অর্থাৎ ভিডিওটি দেখা শেষ হয়ে গেলে এটি আবার শুরু হবে। আবার শেষ হলে আবার, তারপর আবার দেঁতো হাসি ।

রিলেটেড ভিডিও ডিজেবল করা

ইউটিউবের ভিডিও শেষ হবার পর পরই বিরক্তিকর অনেকগুল রিলেটেড ভিডিও এসে হাজির হয়। এক্ষেত্রে ‘&rel=0′ যোগ করলেই রিলেটেড ভিডিও ডিজেবল।

এমপিথ্রি ডাউনলোড
এই সাইটে গিইয়ে youtube link টি দিলেই সেখান থেকে mp3 ডাউনলোড লিঙ্ক পাওয়া যাবে।

youtube ইউআরএল এর উপর একটু সার্চ লাগালাম। বেশ কিছু ট্রিকস শিখলাম গুগলের কাছ থেকে। যেমনঃ


ভিডিও ডাউনলোড করাঃ

http://www.youtube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU এই ভিডিওটি যদি ডাউনলোড করতে চান তাহলে এড্রেসবারে http://www.OKyoutube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU লিখে Enter মারুন দেখবেন ভিডিওটি ডাউনলোড হচ্ছে।

এরকম আরও হাজারখানেক নিয়ম আছে। OK এর জায়গায় kiss লিখতে হবে। অর্থাৎ যদি নিwww.youtube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU ভিডিওটা ডাউনলোড করতে হয় তবে এড্রেসবারে http://www.kissyoutube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU লিখলেই চলবে!

আরেকটা আছে youtube000 এখানে যদি লিঙ্ক হয় http://www.youtube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU তাহলে ডাউনলোডের লিঙ্ক হবে http://www.youtube.com000/watch?v=_wfrZXKFPAU । এখানে flv, mp4 , 3gp তিনটাই আছে দেখলাম ।

আরেকটা youtube এর জায়গায় keephd লিখলে অর্থাৎ http://www.youtube.com/watch?v=_wfrZXKFPAU এটা ডাউনলোড করতে http://www.keepHD.com/watch?v=_wfrZXKFPAU লিখলে Flash, For mobile, Mp4, HQ MP4(720p), HQ MP4(1080p) ফরমাটের ডাউনলোড লিঙ্ক পাওয়া যাবে।




হাই কোয়ালিটি ভিডিও দেখাঃ

ইউটিউবের সব ভিডিও হাই কোয়ালিটিতে থাকে না। আপনি ইচ্ছা করলে তা হাই কোয়ালিটিতে দেখতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে url এর শেষে ‘&fmt=18′ অথবা ‘&fmt=22′ যোগ করতে হবে।
উদাহরনঃ http://www.youtube.com/watch?v=VT4E_BkEx5k তে ভিডিও টি সাধারণ কোয়ালিটিতে আছে এক্ষেত্রে আপন http://www.youtube.com/watch?v=VT4E_BkEx5k&fmt=18 অথবা http://www.youtube.com/watch?v=VT4E_BkEx5k&fmt=22 তে হাই কোয়ালিটি ভিডিও পাবেন।



হাই-কোয়ালিটি ভিডিও এমবেড করাঃ

এর জন্য শেষে “&ap=%26fmt=18″ অথবা “&ap=%26fmt=22″ যোগ করতে হবে।



ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ দেখাঃ

ধরুন আপনার পুরো ভিডিওটি দেখার দরকার নেই। ১ মিনিট ২২ সেকেন্ড পর থেকে দেখতে চান। সেক্ষেত্রে url এর শেষে #t=01m22s (#t=XXmYYs for XX mins and YY seconds) zOg করুন।



ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ এমবেড করাঃ

ধরুন আপনি ভিডিওটির ৩০ সেকেন্ড পর থেকে এমবেড করতে চান। সেক্ষেত্রে url এর শেষে ‘&start=30′ যোগ করুন।


এমবেডেড ভিডিও অটোপ্লে করাঃ

কোন সাইটে কোন ভিডিও এমবেড করার পর সাধারণত ভিডিওর উপর ক্লিক না করা পর্যন্ত শুরু হয় না। শেষে ‘&autoplay=1′ যোগ করলে পেজ লোড হবার সাথে সাথে ভিডিও প্লে হওয়া আরম্ভ করবে। আর ক্লিক করার দরকার হবে না। যেমন



এমবেডেড ভিডিও অটোমেটিক্যালি রি-প্লে করাঃ

‘&loop=1′ যোগ করে আপনি এটা করতে পারেন। অর্থাৎ ভিডিওটি দেখা শেষ হয়ে গেলে এটি আবার শুরু হবে।



রিলেটেড ভিডিও ডিজএবল করাঃ

এক্ষেত্রে ‘&rel=0′ যোগ করলেই হবে।



এমপিথ্রি ডাউনলোডঃ

http://www.vidtomp3.com/ সাইটে গিইয়ে youtube link টি দিলেই সেখান থেকে mp3 ডাউনলোড লিঙ্ক পাওয়া যাবে।

Wednesday, September 15, 2010

জীবনের স্বাদ


রিপোর্ট কার্ডে যখন দেখি পাঁচ বিষয়ে ফেল,
কিংবা যখন দাম বেড়ে যায় গ্যাস-জ্বালানি তেল,
রিকশা-গাড়ি-ভলভো এবং সিএনজি-ট্রাক দিয়ে
ট্র্যাফিক জ্যামে থাকার সময় মাথায় কাকের 'ইয়ে',
কিংবা যখন ম্যানহোলেরই গভীর তলে ডুব -
এসব সময় সাধের জীবন তিক্ত লাগে খুব।

পাওনা টাকা চাইতে হঠাৎ কেউ যদি বা আসে,
কিংবা যখন সুইটি বলে, 'আর রব না পাশে',
মা-বউ-এরই ঝগড়া শেষে সাপোর্ট দিলে মা'কে,
হায় কি দারুণ মধুর নামেই বউ আমাকে ডাকে!
বাবার ঝাড়ি খেয়ে কোন প্ল্যান যদি বানচাল -
সেসব সময় বলছি শোন জীবন ভীষণ ঝাল।

বেড়েই চলে মিটার যখন কাল-হলুদ ক্যাবে,
সকাল-বিকাল ক্লাস করে যাই থিওরি আর ল্যাবে,
ন'টা-পাঁচটা অফিস যখন আজকে এবং কাল-ও -
জীবনটা খুব পানসে লাগে, আর লাগেনা ভাল।

ঝাঁঝালো খুব লাগবে জীবন ঈদের বাজার শেষে -
বক্তৃতা আর সভা-মিছিল-গণসমাবেশে।

ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো, মেলায় আচার খাওয়া -
এদের মাঝে যাবে খুঁজে টকের ছোঁয়া পাওয়া।

আবার নতুন বছর এলে নতুন পাখির গানে
নতুন কোন প্রেমপত্র আমায় কাছে টানে,
অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়ে বেকার এ জীবনে
থাকি যখন ভালবাসার মধুর আলিঙ্গনে,
কিংবা যখন সুন্দরবন, কক্সবাজারের বীচে
মেতে উঠি সবাই মিলে এক আকাশের নীচে,
যখন দেখি মায়ের কোলে শিশুর মুখে হাসি -
জীবনটা খুব মিষ্টি লাগে, আহ! কী ভালবাসি!

এই জীবনের কোথাও উঁচু, কোথাও গভীর খাদ,
এসব নিয়েই পাঁচমিশালী এই জীবনের স্বাদ ।





কোন টেরনিং ফেরনিং নাই .....ফিলিম হিট

ঈদের পর থেকে মহা জ্বালায় টিভির সামনে বইয়া শান্তী নাই
রাইতের বেলায় বিগ্গাপন,নটাক নামের ফটকামি
আর দিনের বেলায় বাংলাসিনেমার নায়িকাদের লম্প জাম্পিং ভালই লাগে দেখতে:)
এই দেখতে দেখতে একটু ঘুমের তালে হারিয়ে গিয়েছিলাম
মাগার ঘুমাইয়াও শান্তি নাই!!! কেন নাই বুঝতেই পারতেছেন
ভুল কিছু বুঝবেন না আপনারা। সপ্নে একটা সিনেমার পরিচালকের সাথে দেখা তার সাথে কিছু আলাপ হয়েছে সেটাই তুলে ধরতে চেস্টা করছি!!! যা ভুলে যাই নাই তাই লিখলাম
আমি>ভাই কেমন আছেন?
পরিচালক>ভালই আছি ,তবে মরিচের দাম অনেক
আমি>মরিচের দামের সাথে সিনেমার কি কানেকশান?
পরিচালক> আছে আছে মরিচ ছাড়া এমুন নাচন আশাকরা যায় না সিনেমায়!!!!
আমি>কি কন ভাই? একটু খুলাশা করে বলেন
পরিচালক> তাহনে শুনেন এই যে নায়িকাদের দেখছেন এরা নাচের তাললয় কিছুই জানে না
আমি>তাহলে নাচে কেম্বায়?
পরিচালক> হেইডাইতো মরিচের কারিশমা
আমি>কেমনে কি?
পরিচালক>নায়িকাদের পাছায় মরিচ লাগাইয়া দেই
আমি>কেমন করে মরিচ লাগান? তারা টের পায় না?
পরিচালক> না।এইখানেই টেকনিক এর ব্যবহার হয়
আমি>কি টেকনিক একটু কন না ভাই
পরিচালক> সোজা টেকনিক নায়িকাদের বাথরুমের পানিতে মরিচ গুলাইয়া দেই। আর হেই পানি দিয়া পেসাব পায়খানা কইরা ব্যাবহার করে। আর তার পর থেকেই চলে নাচন আর নাচন। আমারও অনেক টাকা বাচে । ড্যান্স ডিরেকটর রাখতে হয় না
আর বুঝেনই তো মরিচ লাগানো নাচন........... কোন টেরনিং ফেরনিং নাই .....ফিলিম হিট
আমিও কিছুটা বুঝলাম
আপনারা কি বুঝতে পারছেন?

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৯   

কারিমাট

Sunday, September 12, 2010

আমার মনের হাউশ

আমার নাটাই কাটা ঘুড়ির পানে

চেয়ে থাকতে থাকতে জলে ভরে যায় ঈশ্বরের চোখ
কত সুস্বাদু শৈশব ফেলে আজো নিয়ে বসে আছি
পুরোনো জঞ্জাল ।

দেবদূতেরা খাতা কলম ফেলে
সাবান পানির বুদবুদে ছিলিম ছিলিম নেশা করে
আর আমি বসে ঠায়, তোমার কিনারায়
প্রভূ জল কে চল।

তেড়িয়া কিসিমের বালকের চক্ষু
এড়িয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকা বুড়ো রুই
এর ঘিলুতে সঁপে দিয়ে সভ্যতা
এসো জলকেলি তে মত্ত হই।

অপুর ছুঁড়ে দেওয়া পুঁতির মালাটা
অত্যাশ্চর্ায জীবনমুখীতায় ঝুলে রইল মাঝ পুকুরে
পানাদের দল সশব্দে বলি উঠে
ও দূগ্গা বেলা যে হয়ে গেল চারটে খাবি নে।
আমি নোনা জলের মাঝে
কি এক অপরুপ মাছের খোঁজে
চিৎকারে চিৎকারে খুঁজি নীরব
বন্দর।