ভালোবাসা
অতুল ছবি আঁকছে। সব মমতা ঢেলে অতুল ছবি একে চলেছে। একে চলেছে মায়ের মুখচ্ছবি। হাস্যোজ্জ্বল, স্নেহময়ী এক নারীমূর্তির ছবি। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রু ফোঁটা। আজ অতুলের দুচোখ বেয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নেমেছে যেন।
আজ অতুলের জন্মদিন। জন্মদিনে সবাই কতো মজা করে। কিন্তু অতুল পারে না। কারণ, এদিনেই ওর মা ওকে ছেড়ে তারার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। অতুলের বয়স সতেরো। পাঁচ বছর হলো অতুল মাকে হারিয়েছে। আর এ পাঁচ বছরে ও বুঝে গেছে মাকে ও যারপরনাই ভালোবাসে।
আঁকাআঁকির প্রতি অতুলের দুর্বলতা দেখে আট বছর বয়সেই ওকে আর্ট একাডেমিতে ভর্তি করে দেয় অতুলের মা। বাবাকে অতুল জন্মের আগেই হারিয়েছে। তাই অতুল জানে না বাবা কেমন হয়। কখনো জানতেও ইচ্ছা হয়নি। অতুল কখনো অনুভব করেনি বাবার অভাব।
মায়ের সঙ্গে অতুলের ছিল দারুণ বন্ধুত্ব। মা আর ছেলের মধ্যে ছিল না কোনো দেয়াল কিংবা দূরত্ব। মা আর ছেলের এমন চমৎকার সম্পর্ক দেখে অতুলের বন্ধুরা তাকে দারুণ হিংসা করতো। অতুলের কাছে ওর মা ঘাসের ডগায় এক ফোঁটা শিশির বিন্দুর মতো।
যাকে ছোয়ামাত্রই গড়িয়ে মিশে গেছে সমুদ্রের অতলে। পাচ বছর আগে ঠিক এমনই এক দিনে গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে ওর মা চিরতরে হারিয়ে যায় অতুলকে পর করে। সবাই ভেবেছিল অতুলের কান্নায় পৃথিবীর বাতাস ভারি হয়ে উঠবে।
কিন্তু অতুল কাদেনি। ছোটবেলায়ই প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়িতে মৃতের জন্য মিলাদ অনুষ্ঠানে শোনা কথাটা ওর অবুঝ মনে গেথে গিয়েছিল সম্পূর্ণ অবচেতনভাবেই- মৃতের জন্য কাদতে নেই। তাতে আত্মা কষ্ট পায়। যার প্রতি অতুলের অগাধ ভালোবাসা, কি করে অতুল তার কষ্ট কামনা করতে পারে?
অতুলের সত্তা জুড়ে ওর মা। তাই এ পাঁচ বছরে মায়ের মুখখানি একটুও অচেনা হয়ে উঠতে পারেনি অতুলের কাছে। আর হয়তো সে কারণেই অতুলের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজটিই হলো স্নেহময়ী এক নারীর পোরট্রেইট আকা।
প্রত্যেক জন্মদিনেই অতুল ব্যস্ত হয়ে পড়ে মায়ের মুখচ্ছবি আকতে। মার মতোই অতুল হয়েছে খুবই চাপা স্বভাবের। খুব সচেতনভাবেই সবার চোখের আড়ালে নিজেকে গুটিয়ে রাখে ও। তাই হয়তো কেউ দেখতে পায় না অতুলের হৃদয়ে জ্বলতে থাকা কষ্টের দাবানল।
অতুলের ছবি আঁকা শেষ হলে মনে হয় স্নেহময়ী নারীটি যেন তার দিকে চেয়ে মমতাভরে বলছে, কেঁদো না বাবা। আমি তোমাকে ছেড়ে একটুও দূরে সরে যাইনি। আমি তোমার কাছেই আছি সারাটিক্ষণ। অতুল এক সময় ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়ে। বুকে জড়িয়ে রাখে মমতায় আঁকা ছবিটি।
অতুল যদি জেগে থাকতো তবে হয়তো দেখতো একটা উজ্জ্বল আলো ওর গায়ে চাদর জড়িয়ে দিচ্ছে। যেন এক স্নেহময়ী মা তার ভুলোমন ছেলেটির গায়ে স্নেহের চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে। আলোটির মুখখানি হুবহু অতুলের আকা ছবির মতো। আলোটি প্রতি রাতেই তার স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিয়ে চলে যায় পাঁচ বছর আগে গড়া তারার ভিড়ে।
অতুল ছবি আঁকছে। সব মমতা ঢেলে অতুল ছবি একে চলেছে। একে চলেছে মায়ের মুখচ্ছবি। হাস্যোজ্জ্বল, স্নেহময়ী এক নারীমূর্তির ছবি। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রু ফোঁটা। আজ অতুলের দুচোখ বেয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নেমেছে যেন।
আজ অতুলের জন্মদিন। জন্মদিনে সবাই কতো মজা করে। কিন্তু অতুল পারে না। কারণ, এদিনেই ওর মা ওকে ছেড়ে তারার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। অতুলের বয়স সতেরো। পাঁচ বছর হলো অতুল মাকে হারিয়েছে। আর এ পাঁচ বছরে ও বুঝে গেছে মাকে ও যারপরনাই ভালোবাসে।
আঁকাআঁকির প্রতি অতুলের দুর্বলতা দেখে আট বছর বয়সেই ওকে আর্ট একাডেমিতে ভর্তি করে দেয় অতুলের মা। বাবাকে অতুল জন্মের আগেই হারিয়েছে। তাই অতুল জানে না বাবা কেমন হয়। কখনো জানতেও ইচ্ছা হয়নি। অতুল কখনো অনুভব করেনি বাবার অভাব।
মায়ের সঙ্গে অতুলের ছিল দারুণ বন্ধুত্ব। মা আর ছেলের মধ্যে ছিল না কোনো দেয়াল কিংবা দূরত্ব। মা আর ছেলের এমন চমৎকার সম্পর্ক দেখে অতুলের বন্ধুরা তাকে দারুণ হিংসা করতো। অতুলের কাছে ওর মা ঘাসের ডগায় এক ফোঁটা শিশির বিন্দুর মতো।
যাকে ছোয়ামাত্রই গড়িয়ে মিশে গেছে সমুদ্রের অতলে। পাচ বছর আগে ঠিক এমনই এক দিনে গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে ওর মা চিরতরে হারিয়ে যায় অতুলকে পর করে। সবাই ভেবেছিল অতুলের কান্নায় পৃথিবীর বাতাস ভারি হয়ে উঠবে।
কিন্তু অতুল কাদেনি। ছোটবেলায়ই প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়িতে মৃতের জন্য মিলাদ অনুষ্ঠানে শোনা কথাটা ওর অবুঝ মনে গেথে গিয়েছিল সম্পূর্ণ অবচেতনভাবেই- মৃতের জন্য কাদতে নেই। তাতে আত্মা কষ্ট পায়। যার প্রতি অতুলের অগাধ ভালোবাসা, কি করে অতুল তার কষ্ট কামনা করতে পারে?
অতুলের সত্তা জুড়ে ওর মা। তাই এ পাঁচ বছরে মায়ের মুখখানি একটুও অচেনা হয়ে উঠতে পারেনি অতুলের কাছে। আর হয়তো সে কারণেই অতুলের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজটিই হলো স্নেহময়ী এক নারীর পোরট্রেইট আকা।
প্রত্যেক জন্মদিনেই অতুল ব্যস্ত হয়ে পড়ে মায়ের মুখচ্ছবি আকতে। মার মতোই অতুল হয়েছে খুবই চাপা স্বভাবের। খুব সচেতনভাবেই সবার চোখের আড়ালে নিজেকে গুটিয়ে রাখে ও। তাই হয়তো কেউ দেখতে পায় না অতুলের হৃদয়ে জ্বলতে থাকা কষ্টের দাবানল।
অতুলের ছবি আঁকা শেষ হলে মনে হয় স্নেহময়ী নারীটি যেন তার দিকে চেয়ে মমতাভরে বলছে, কেঁদো না বাবা। আমি তোমাকে ছেড়ে একটুও দূরে সরে যাইনি। আমি তোমার কাছেই আছি সারাটিক্ষণ। অতুল এক সময় ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়ে। বুকে জড়িয়ে রাখে মমতায় আঁকা ছবিটি।
অতুল যদি জেগে থাকতো তবে হয়তো দেখতো একটা উজ্জ্বল আলো ওর গায়ে চাদর জড়িয়ে দিচ্ছে। যেন এক স্নেহময়ী মা তার ভুলোমন ছেলেটির গায়ে স্নেহের চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে। আলোটির মুখখানি হুবহু অতুলের আকা ছবির মতো। আলোটি প্রতি রাতেই তার স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিয়ে চলে যায় পাঁচ বছর আগে গড়া তারার ভিড়ে।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment
তুমি তীরে এসে এতটুকু আশ্বাস দাও
যাতে আমি হতবিহ্ববল হয়ে যাই,
আমার স্মৃতিরা কেদেঁ ফেলে
আমার নোঙ্গর ছিড়েঁ যায়.....