অরুণোদয় কতটা মোলায়েম দেখিবে আজ, চলো
করকমল ঘাসের শিশিরে ভেজাবো আজ, চলো।।
অবারিত প্রান্তরের সীমানায় আলোক-রশ্মি
সোনাঝড়া ধানের শিষে তার বিচ্ছুরণ
সর্ষের ক্ষেতে কতটা হলুদাভার বিস্তরণ
নদীর জলে মাছের রুপোলি চকচক
কিষানের লাঙ্গলের ফলার তামাটে ঝলক
শত-সহস্র পাখির কল-কুঞ্জন শুনিব আজ, চলো
শনশন বাতাসে উড়াইবে কুন্তল আজ, চলো ।।
কাশফুলের শুভ্রতা কতটা স্নিগ্ধতা ধরে
রাখালের ’এই হাট-হাট’ কতটা সুর ধরে
হিজলতলায় কতটা ছায়ায় শীতলতা ধরে
কিষানীর ঘোমটা কতটা শালীনতা ধরে
মাঝি ভাটিয়ালি সূরে কতটা দরদ ধরে।।
মহকুমার বড় রাস্তা ধরে কত জনা গঞ্জে যায় আজ দেখিব, চলো
‘লাজ-শরমের মাথা খেয়েছি’ কত জনা বলে শুনিব আজ, চলো ।।
মক্তবে কচি-কাচার মনে কতটা ভক্তি
ডুলা হাতে কত জনা হাটে যায় মেঠো পথে
পান দোকানী কি করে সাজায় তার পন্যের সাড়ি
তুমি কি জানো? মিলাইবে না এ দৃশ্য-পট কভু
আমার বাংলা, আমার শতরূপের ভোরে।।
Monday, November 1, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment
তুমি তীরে এসে এতটুকু আশ্বাস দাও
যাতে আমি হতবিহ্ববল হয়ে যাই,
আমার স্মৃতিরা কেদেঁ ফেলে
আমার নোঙ্গর ছিড়েঁ যায়.....